মানবদেহ

- সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান | NCTB BOOK

মানবদেহ, খাদ্য ও পুষ্টি এবং পরিবেশ

মানবদেহ

Human Body

Body Mass Index (BMI)

ওজনাধিক্য ও স্থুলতা নিরূপনের সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো বি এম আই (বডি মাস ইনডেক্স)

বি এম আই = ভরকেজিউচ্চতামিটার২

 

Content added By
ধমনীর ভিতর দিয়ে
শিরার ভিতর দিয়ে
স্নায়ুর ভিতর দিয়ে
ল্যাকটিয়ালের ভিতর দিয়ে

৩ মিনিট বন্ধ থাকে

৪ মিনিট বন্ধ থাকে

৫ মিনিট বন্ধ থাকে

৬ মিনিট বন্ধ থাকে

রক্ত সংবহনতন্ত্র

রক্ত সংবহন তন্ত্র হলো অঙ্গগুলোর একটি তন্ত্র যার মধ্যে রয়েছে হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী এবং রক্ত ​​যা একজন মানুষ বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর সমগ্র শরীরে সঞ্চালিত হয়। [১][২] এটি কার্ডিওভাসকুলার বা ভাসকুলারকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালী নিয়ে গঠিত(গ্রীক কার্ডিয়া অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড,এবং ল্যাটিন ভাসকুলা অর্থ নালী থেকে) এবং এর দুটি বিভাগ রয়েছে, একটি সিস্টেমিক সংবহন এবং একটি ফুসফুসীয় সংবহন ।[৩] কিছু উৎস কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এবং ভাস্কুলার সিস্টেম পরিবর্তনযোগ্যভাবে সংবহনতন্ত্রের সাথে ব্যবহার করে।[৪]

রক্তনালীগুলোর মধ্যকার সংযোগ হলো হৃৎপিণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ নালীর সংযোগ যার মধ্যে বড় স্থিতিস্থাপক ধমনী এবং বড় শিরা রয়েছে; অন্যান্য ধমনী, ছোট ধমনী, কৈশিকনালী যা ভেনুলের (ছোট শিরা) সাথে এবং অন্যান্য শিরার সাথে যুক্ত হয় । মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে সংবহনতন্ত্র বন্ধ থাকে, যার অর্থ রক্ত ​​কখনোই রক্তনালীগুলোর সংযোগ ছেড়ে যায় না। কিছু অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন আর্থ্রোপডের একটি উন্মুক্ত সংবহনতন্ত্র রয়েছে। ডিপ্লোব্লাস্ট যেমন স্পঞ্জ এবং চিরুনি জেলিতে একটি সংবহনতন্ত্রও নেই।

রক্ত হলো প্লাজমা, লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট সমন্বিত একটি তরল যা শরীরের চারপাশে সঞ্চালিত হয় , টিস্যুতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি বহন করে এবং বর্জ্য পদার্থকে দূরে সরিয়ে দেয়। সঞ্চালিত পুষ্টির মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং খনিজ।পরিবহন করা অন্যান্য উপাদানগুলো হলো গ্যাস যেমন অক্সিজেন, এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, হরমোন এবং হিমোগ্লোবিন; পুষ্টি সরবরাহ, ইমিউন সিস্টেমকে রোগের সাথে লড়াই করতে এবং তাপমাত্রা ও প্রাকৃতিক পি.এইচকে স্থিতিশীল করে হোমিওস্ট্যাসিস বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে, সংবহনতন্ত্রের পরিপূরক হলো লসিকাতন্ত্র। এই তন্ত্রটি কৈশিকনালী থেকে ফিল্টার করা অতিরিক্ত প্লাজমা কোষের মধ্যে আন্তঃস্থায়ী তরল হিসাবে বহন করে এবং দেহ টিস্যু থেকে দূরে সহায়ক পথে অতিরিক্ত তরলকে লসিকা হিসাবে রক্ত ​​​​সঞ্চালনে ফিরিয়ে দেয়।[৫] লসিকার উত্তরণ রক্তের তুলনায় অনেক বেশি সময় নেয়।[৬] লসিকাতন্ত্র হলো একটি সাব-সিস্টেম যা রক্ত ​​​​সঞ্চালন ব্যবস্থার কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য; এটা ছাড়া রক্তের ​​তরল পদার্থ ক্ষয় হয়ে যাবে। লসিকাতন্ত্র ইমিউন সিস্টেমের সাথে একসাথে কাজ করে।[৭] বন্ধ সংবহনতন্ত্রের বিপরীতে, লসিকাতন্ত্র একটি উন্মুক্ত তন্ত্র। কিছু উৎস এটিকে একটি দ্বিতীয় সংবহনতন্ত্র হিসাবে বর্ণনা করে।

সংবহনতন্ত্র অনেক হৃৎরোগ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা হলেন চিকিৎসা পেশাদার যারা হৃদপিণ্ডের বিশেষজ্ঞ, এবং কার্ডিওথোরাসিক সার্জনরা হৃৎপিণ্ড এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে অপারেশনে বিশেষজ্ঞ। ভাস্কুলার সার্জনরা সংবহনতন্ত্রের অন্যান্য অংশগুলিতে নজর দেন।

Content added By
অক্সিজেন পরিবহন করা
রোগ প্রতিরোধ করা
রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করা
উপরে উল্লিখিত সব কয়টিই
অক্সিজেন পরিবহন করা
রোগ প্রতিরোধ করা
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
উল্লিখিত সব কয়টিই

 

রক্ত (Blood)

রক্ত এক ধরণের তরল যোজক কলা। রক্তের উপাদান দুইটি। যথা- রক্তরস (৫৫%) এবং রক্তকণিকা (৪৫%)। রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে। রক্তে ৩ ধরণের কণিকা রয়েছে। যথা- লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা এবং অনুচক্রিকা। মানুষের শরীরের ওজনের ৭% রক্ত থাকে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে রক্তের পরিমাণ ৫-৬ লিটার। রক্ত সামান্য ক্ষারীয়। এর pH ৭.৩৫-৭.৪৫।

 

রক্তের কাজ

রক্তকণিকার কাজ + রক্তরসের কাজ = রক্তের কাজ

 

ক) রক্তকণিকার কাজ

লোহিত রক্ত কণিকা (Erythrocyte or Red Blood Cell) : লোহিত রক্তকণিকা অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং বয়ঃপ্রাপ্ত হলে প্লীহায় সঞ্চিত হয় ও এক পর্যায়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না। লোহিত কণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন (৪ মাস)। হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্ঝক পদার্থের উপস্থিতির জন্য রক্তের রঙ লাল হয়। মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে। কেঁচোর রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকে। আরশোলার রক্ত সাদা বা বর্ণহীন। হিমোগ্লোবিন এর কাজ-

ক) প্রধানত অক্সিজেন এবং সামান্য পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন করে। খ) বাফার হিসাবে কাজ করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়াকে রক্তশূন্যতা (Anaemia) বলে। ভিটামিন বি১২ এবং ফোলিক এসিড লোহিত কণিকার পূর্ণতা প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে প্রয়োজন হয় আমিষ এবং লৌহ। ভিটামিন বি১২ ফোলিক এসিড, আমিষ এবং লৌহ স্বল্পতা হলে রক্তশূন্যতা হয়।

 

শ্বেত কণিকা (White Blood Cell): শ্বেত কণিকা দুই প্রকার। যথা- দানাদার (নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল, বেসোফিল) এবং অদানাদার (লিস্ফোসাইট, মনোসাইট)। শ্বেত কণিকার গড় আয়ুষ্কাল কয়েক ঘন্ট থেকে কয়েক দিন। মানুষের শরীরে শ্বেতকণিকা এবং লোহিত কণিকার অনুপাত ১:৭০০। নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে। ব্লাড ক্যান্সারে (Leukemia) রক্তের শ্বেত কণিকা অস্বভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এইডস রোগে রক্তের শ্বেত কণিকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

 

অনুচক্রিকা (Platelets): দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর: (Easy Tec: ফুল পড়ে টুপ করে)

ক) ফিব্রিনোজেন - ফুল

খ) প্রোথ্রোম্বিন - পড়ে

গ) টিস্যু থ্রোম্বোপ্লাস্টিন - টুপ

ঘ) ক্যালসিয়াম আয়ন - করে

রক্তে হেপারিন থাকায় দেহের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধে না। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর তৈরিতে সাহায্য করে।

 

খ) রক্তরসের কাজ

ক. ক্ষুদ্রান্ত হতে খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড) রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কলায় পৌছে।

খ. কলা হতে উৎপন্ন CO2 রক্তরসের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌছায়।

গ. কলা হতে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ (ইউরিয়া, ইউরিক এসিড) রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়।

ঘ. রক্তরসের বাইকার্বনেট, ফসফটে বাফার অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

ঙ. অন্তক্ষরা গ্রন্থি হতে উৎপন্ন হরমোন রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে পৌছায়।

 

Content added By
অক্সিজেন পরিবহন করা
রোগ প্রতিরোধ করা
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
উল্লেখিত সবকটিই
রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া
রক্তরসের পরিমাণ কমে যাওয়া
অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যাওয়া
লোহিত রক্তকণিকায়
শ্বেত রক্তকণিকায়
অনুচক্রিকায়
প্লাজমায়

রক্তের কাজ

রক্তকণিকার কাজ + রক্তরসের কাজ = রক্তের কাজ

 

ক) রক্তকণিকার কাজ

লোহিত রক্ত কণিকা (Erythrocyte or Red Blood Cell) : লোহিত রক্তকণিকা অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং বয়ঃপ্রাপ্ত হলে প্লীহায় সঞ্চিত হয় ও এক পর্যায়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না। লোহিত কণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন (৪ মাস)। হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্ঝক পদার্থের উপস্থিতির জন্য রক্তের রঙ লাল হয়। মানুষের রক্তের লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকে। কেঁচোর রক্তরসে হিমোগ্লোবিন থাকে। আরশোলার রক্ত সাদা বা বর্ণহীন। হিমোগ্লোবিন এর কাজ-

ক) প্রধানত অক্সিজেন এবং সামান্য পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহন করে। খ) বাফার হিসাবে কাজ করে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পাওয়াকে রক্তশূন্যতা (Anaemia) বলে। ভিটামিন বি১২ এবং ফোলিক এসিড লোহিত কণিকার পূর্ণতা প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে প্রয়োজন হয় আমিষ এবং লৌহ। ভিটামিন বি১২ ফোলিক এসিড, আমিষ এবং লৌহ স্বল্পতা হলে রক্তশূন্যতা হয়।

 

শ্বেত কণিকা (White Blood Cell): শ্বেত কণিকা দুই প্রকার। যথা- দানাদার (নিউট্রোফিল, ইওসিনোফিল, বেসোফিল) এবং অদানাদার (লিস্ফোসাইট, মনোসাইট)। শ্বেত কণিকার গড় আয়ুষ্কাল কয়েক ঘন্ট থেকে কয়েক দিন। মানুষের শরীরে শ্বেতকণিকা এবং লোহিত কণিকার অনুপাত ১:৭০০। নিউট্রোফিল ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে। ব্লাড ক্যান্সারে (Leukemia) রক্তের শ্বেত কণিকা অস্বভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এইডস রোগে রক্তের শ্বেত কণিকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

 

অনুচক্রিকা (Platelets): দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর: (Easy Tec: ফুল পড়ে টুপ করে)

ক) ফিব্রিনোজেন - ফুল

খ) প্রোথ্রোম্বিন - পড়ে

গ) টিস্যু থ্রোম্বোপ্লাস্টিন - টুপ

ঘ) ক্যালসিয়াম আয়ন - করে

রক্তে হেপারিন থাকায় দেহের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধে না। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার ফ্যাক্টর তৈরিতে সাহায্য করে।

 

খ) রক্তরসের কাজ

ক. ক্ষুদ্রান্ত হতে খাদ্যসার (গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, ফ্যাটি এসিড) রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন কলায় পৌছে।

খ. কলা হতে উৎপন্ন CO2 রক্তরসের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌছায়।

গ. কলা হতে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ (ইউরিয়া, ইউরিক এসিড) রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যায়।

ঘ. রক্তরসের বাইকার্বনেট, ফসফটে বাফার অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।

ঙ. অন্তক্ষরা গ্রন্থি হতে উৎপন্ন হরমোন রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে পৌছায়।

 

Content added By
অক্সিজেন পরিবহন করা
রোগ প্রতিরোধ করা
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
উল্লেখিত সবকটিই
রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া
রক্তরসের পরিমাণ কমে যাওয়া
অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যাওয়া
লোহিত রক্তকণিকায়
শ্বেত রক্তকণিকায়
অনুচক্রিকায়
প্লাজমায়
Content added By
অক্সিজেন পরিবহন করা
রোগ প্রতিরোধ করা
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
উল্লেখিত সবকটিই
রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া
রক্তরসের পরিমাণ কমে যাওয়া
অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যাওয়া
লোহিত রক্তকণিকায়
শ্বেত রক্তকণিকায়
অনুচক্রিকায়
প্লাজমায়

হৃদপিন্ড (Heart)

হৃদপিন্ড দ্বিস্তরবিশিষ্ট পাতলা পর্দা দ্বারা ঢাকা থাকে, একে পেরিকার্ডিয়াম বলে। হৃদপিন্ড ৩ স্তর বিশিষ্ট পেশি দ্বারা গঠিত। যথা- এপিকার্ডিয়াম, মায়াকার্ডিয়াম এবং এন্ডোকার্ডিয়াম। পূর্ণ বয়স্ক মানুষের হৃদপিন্ডের ওজন ৩০০ গ্রাম। মানুষের হৃদপিন্ড ৪টি প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট। উপরে ডান ও বাম অলিন্দ (Atrium) এবং নিচে ডান ও বাম নিলয় (Ventricle)। হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠের প্রসারণকে ডায়াস্টোল এবং সংকোচনকে সিস্টোল বলে। সিস্টোলিক চাপ বলতে হৃদপিন্ডের সংকোচন চাপকে বুঝায় এবং হৃদপিন্ডের প্রসারণ চাপকে ডায়াস্টোলিক চাপ বলে। হার্ট সাউন্ড চার ধরণের। এই হৃদস্পন্দন (এবং দেহের অভ্যন্তরের অন্যান্য শব্দ) শোনার জন্য চিকিৎসকগণ স্টেথেস্কোপ (Stethoscope) ব্যবহার করে থাকেন।

 

Content added By

রক্ত বাহিকা (Blood Vessels)

রক্ত বাহিকা (Blood Vessels)

রক্তবাহিকা তিন প্রকার। যথা- ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা।

ধমনীর ভিতর দিয়ে নাড়ীর স্পন্দন প্রবাহিত হয়। ডাক্তার রোগীর নাড়ী দেখার সময় প্রকৃতপক্ষে ধমনীর স্পন্দন দেখেন। সাধারণ রোগীর হাতের কব্জিতে রেডিয়াল ধমনীতে (Radial artery) নাড়ীর স্পন্দন পরীক্ষা করেন। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির গড় নাড়ীর স্পন্দন পরীক্ষা করেন। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির গড় নাড়ীর স্পন্দন (Pulse rate) ৭২/মিনিট। প্রবাহমান রক্ত রক্তনালীর গায়ে যে পার্শ্বচাপ প্রয়োগ করে, তাকে রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দুই প্রকার। যথা-

ক) সিস্টোলিক রক্তচাপ (১১০-১৪০ মি.মি. পারদ)

খ) ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (৬০-৯০ মি.মি. পারদ)

স্ফিগমোম্যানোমিটার (Sphygamanometer)এর সাহায্যে রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। ধরা যাক, এক ব্যক্তির রক্তচাপ ১২০/৮০ মি.মি. পারদ। এর অর্থ হলো ঐ ব্যক্তির সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ যথাক্রমে ১২০ এবং ৮০ মি.মি. পারদ। উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হলো একটি রোগ। যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে উর্ধ্বে থাকে। কোনো সুনির্দিষ্ট বিন্দু নেই যখন রক্তচাপ বিবেচনা করা হয় ‘উচ্চ’।

 

 

Content added By

হৃদরোগ (Cardiac Diseases)

করোনারী ধমনী হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ করে। করোনারী ধমনীতে চর্বি জমাট বেঁধে গেলে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হৃদপিন্ডের কিছু টিস্যু মরে যায়। এ ঘটনাকে হার্ট এটাক (Myocardial Infraction) বলে। হৃদরোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-ধূমপান, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শারীরিক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি।

 

হৃদরোগের পরীক্ষা

a) Coronary Angiography

b) Echo Cardiography: Cardiograph হলো হৃদপিন্ডের কর্মদক্ষতা পরিমাপ করা হয়।

c) E.T.T (Exercise Tolerance Test): হৃদপিন্ডের কর্মদক্ষতা পরিমাপ করা হয়।

 

হৃদরোগের চিকিৎসা

a) Coronary angioplasty: যা হল হৃদপিন্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানো পদ্ধতির নাম হলো করোনারী এনজিওপ্লাস্টি।

b) Coronary bypass: এ পদ্ধতিতে করোনারী ধমনীর সরু অংশে ইন্টারনাল ম্যামারী ধমনী বা সেপনাস শিরার দ্বারা bypass পথ তৈরি করা হয় যাতে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

 

Content added By
পরিমিত ঘুম
ধূমাপান
সুষম খাদ্য গ্রহণ
রক্তপাত

লসিকা (Lymph)

লসিকা এক ধরণের ঈষৎ ক্ষারধর্মী স্বচ্ছ কলারস যা লসিকা বাহিকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দেহের প্রতিটি রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা অনুপস্থিত কিন্তু প্রচুর পরিমাণে শ্বেতকণিকা বিদ্যমান। লসিকা ৯৪% পানি ও ৬% কঠিন পদার্থ থাকে। লসিকা নালীর মাধ্যমে লসিকা রক্ততন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করে।

Content added By
Promotion